
থিয়েটার এবং প্লেগ
অঁতনা আখতু অনুবাদ: শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ ক্যালিয়ারি এই ছোট্ট নগরটির মহাফেজখানায়, যা সার্দেইনাতে, একটি বিস্ময়কর ঐতিহাসিক তথ্যের বিবরণ আছে। এপ্রিলের শেষে অথবা মে-র শুরুতে এক রাত্রে,

অঁতনা আখতু অনুবাদ: শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ ক্যালিয়ারি এই ছোট্ট নগরটির মহাফেজখানায়, যা সার্দেইনাতে, একটি বিস্ময়কর ঐতিহাসিক তথ্যের বিবরণ আছে। এপ্রিলের শেষে অথবা মে-র শুরুতে এক রাত্রে,

India’s First Bengali Daily Magazine. পূর্ণাঙ্গ নাটক: এবং বিদ্রোহ

India’s First Bengali Daily Magazine. পেডার গ্রোংগার্ড এই সব তুলে এনেছেন তাঁর প্রবন্ধ ‘একটা দুটো জিনিস যা আমি জানি ইউরোপ কিম্বা আমেরিকার সিনেমা সম্পর্কে’ প্রবন্ধে। এই সকল কথা কিছু কিছু ফিল্ম নয়ারের কথা, সিনেমা বিষয়ক সিনেমার কথা এবং কাটাকাটি। বড় বড় দাদা-দিদিরা আমাদের খোকাবাবুদের দিকে চেয়ে থেকেই চোখ নষ্ট করে ফেলেছে। গদারের নষ্ট আখ্যান তাদের কাছে খুব ভারি। ঋত্বিক, সত্যজিৎ বিগত। মৃণাল এখন কাজের বাইরে। বাকি পাখি সব করে রব, কিন্তু রাতি পোহায় না।

সিলেট, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, যশোর, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বাউল ফকিরি গান— সে সব তত্ত্বতালাশ আপনার। মঞ্চে অবিরল ঝরেছে। এই বাংলার সেই সব যা এবারে আপনার কাছে ঋণ শুধবে। বা শুধবে সুধার ঋণ। বাংলার ভাঁটফুল, নদী ও নক্ষত্র ছিন্ন খঞ্জনার পা’য় যেমন যেভাবে বেজেছিল, আপনার সুধাকরতায়। এখন শূন্য লিখতে লিখছি অতীত কাল দিয়ে। বেজেছিল। অথচ বাজবেও। যা রয়ে গেল তা বাজবে তো। তবু গাড়ি কেন দীর্ঘ থেকে হ্রস্ব হবার পথে আমাদের নিঃস্ব করে কালিকা?

ভিখারির পায়ে লক্ষ্মী— এই আপ্তবাক্য সম্বল করে তিনি হেঁটে চলেছেন। কিন্তু এই ভিখারি সেই ভিখারি নন যিনি আত্মস্বার্থে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা করেছেন। এই ভিখারি ভিক্ষা করেন না, দাবি করেন। নিজের জন্য তিনি ভিক্ষা করেননি কখনও। বরং যেখানে চাইতে গিয়েছেন সেখানে সদর্পে বলেছেন, তিনি জাতির হয়ে চাইতে এসেছেন, জাতির জন্য। দান করাটা মহত্ব নয়, না করাটাই অন্যায়, কর্তব্যচ্যুতি।

নবান্ন। এটি কেবল একটি ঋতুভিত্তিক পার্বণ নয়; এটি সেই বৈদিক পূর্ব কাল থেকে ঐতিহ্যের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় (যা প্রাচীন পুথি ও পাল আমলের লোক-আচারে চিত্রিত) এই সুবিস্তীর্ণ বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষের ‘অন্নময় ব্রহ্মের’ প্রতি নিবেদিত এক গভীর নান্দনিক অর্ঘ্য, যেখানে লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে শস্যের অধিষ্ঠাত্রী লোকদেবতার আহ্বানও লুকিয়ে থাকে। নবান্ন হল জীবন ও প্রকৃতির এক বিশাল মহাকাব্য, যা মানুষ, তার ধৈর্য, শ্রম এবং প্রকৃতির উদারতাকে এক মঞ্চে তুলে ধরে মানব-অস্তিত্বের শ্রম-মহিমা ঘোষণা করে।

বুদ্ধদেব বসুর অন্যতম অবদান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য (Comparative Literature) বিষয়টির প্রবর্তন। সারা ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়-মানে এ বিষয়ে পড়ানোর সূচনা তাঁর মাধ্যমেই হয়েছিল। এর ফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে তিনি যে বেশ কয়েকজন সার্থক আন্তর্জাতিক সাহিত্যবোধসম্পন্ন সাহিত্যিক তৈরি করেছিলেন তা-ই নয়, বিশ্বসাহিত্যের বহু ধ্রুপদী রচনা বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে তাঁরা বাংলা অনুবাদসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। অনুবাদকদের মধ্যে কয়েকজন হলেন নবনীতা দেবসেন, মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবীর রায়চৌধুরী প্রমুখ। এবং স্বয়ং বুদ্ধদেব।

দরজায় আটকানো কাগজটার থেকে চোখ সরিয়ে নিল বিজয়া। ওসব আইনের বুলি তার মুখস্থ। নতুন করে আর শেখার কিছু নেই। এরপর, লিফটের দিকে না গিয়ে সে সিঁড়ির দিকে পা বাড়াল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে উঠে বসল গাড়িতে। চোখের সামনে পরপর ভেসে উঠছে স্মৃতির জলছবি। নিজের সুখের ঘরের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ‘ডিফল্ট ইএমআই’-এর নোটিস পড়তে মনের জোর চাই। অনেক কষ্ট করে সে দৃশ্য দেখে নিচে নেমে আসতে হল বিজয়াকে।

তালিবান। জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই দুনিয়াজোড়া ডাক। আফগানিস্তানের ঊষর মরুভূমি, সশস্ত্র যোদ্ধা চলেছে হননের উদ্দেশ্যে। মানে, স্বাধীন হতে… দিনান্তে তাঁদের কেউ কেউ কবিতা লিখতেন। ২০১২ সালে লন্ডনের প্রকাশনা C. Hurst & Co Publishers Ltd প্রথম সংকলন প্রকাশ করে ‘Poetry of the Taliban’। সেই সম্ভার থেকে নির্বাচিত তিনটি কবিতার অনুবাদ।

দূর পাহাড়ের গায়ে ডানা মেলে/ বসে আছে একটুকরো মেঘ। বৈরাগী প্রজাপতি।/ সন্ন্যাস-মৌনতা ভেঙে যে পাহাড় একদিন/ অশ্রাব্য-মুখর হবে, ছল-কোলাহলে ভেসে যাবে তার/ ভার্জিন-ফুলগোছা, হয়তো বা কোনও খরস্রোতা/ শুকিয়ে শুকিয়ে হবে কাঠ,/ অনভিপ্রেত প্রত্যয়-অসদ্গতি!

আরও উপযুক্ত, আরও আরও সাশ্রয়ী, এসবের টানে প্রযুক্তি গবেষণা এগিয়ে চলে। সময়ের উদ্বর্তনে পুরনো সে-সব আলোর অনেকেই আজ আর নেই। নিয়ন আলো কিন্তু যাই যাই করে আজও পুরোপুরি যেতে পারেনি। এই এলইডি আলোর দাপটের সময়কালেও।