
পিয়াস মজিদের কবিতা
রাতের রিক্যুয়াম শেষরাতের ঘুমে কে ছিটিয়ে গেল এলাচ-দারুচিনি স্বপ্নে ম ম ছড়িয়ে পড়ছে সে সুবাস ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে বসবাস শেষ করে কুয়াশা আসছে

রাতের রিক্যুয়াম শেষরাতের ঘুমে কে ছিটিয়ে গেল এলাচ-দারুচিনি স্বপ্নে ম ম ছড়িয়ে পড়ছে সে সুবাস ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে বসবাস শেষ করে কুয়াশা আসছে

ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩|| পিয়াস মজিদের কবিতা।

India’s First Bengali Daily Magazine. আরও অন্ধকারে যাব/ এতটুকুতে হয় নাকি?/ তুমি এলে যতটুকু আলো/ তাতে মেশা গয়নার গন্ধ;/ চাইলে চলে যাও,/ যেকোনো গমনপথে/ সোনার ধুলো লেগে থাকে।/ জীবনের রঙ্গপুরে ঘুরেফিরে/ কালারব্লাইন্ড কুত্তারা/ এখনও ‘মানুষের চোখ’ বলে/ কীসের মাতাল মহড়া দেয়!/ অথচ জানি তো/ দৃষ্টি-দালালের দেশে দুর্লভ অমলিন অন্ধের আভা।

India’s First Bengali Daily Magazine. গরমে চর্বিবহুল গলে যায় যে গান/ সুরের নালায়/ দীর্ঘজীবনের বাঁকগুলো/ লিরিক্যাল বীর্যবান/ তোমার মক্কেল/ তার তানহা ধরে রাখবে/ ওটিটির আত্মা/ রক্তপাত ছাড়া এই তথৈবচ প্রেম/ বৃষ্টি এলে যে ‘বৃষ্টি’ নামের হারানোদের মনেই পড়বে/ এমন না যেহেতু,/ চিকা-মারা দেয়ালের/ গা-গতর থেকে উদ্ধার করা/ একাদশ পার্টি কংগ্রেস/ বিপ্লব ভিজে যাচ্ছে আপাতত/ যারেই পুড়তে দ্যাখো/ শেষপর্যন্ত জ্বলে শুধু/ আগুনের অন্তর/ ‘১২ই মে’ শুনে/ কাকে মার্ক দেবে বেশি/ পিটার স্টারস্টেড নাকি অঞ্জন/ যাকে তুমি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছ/ এ শহরে/ সে আসলে তোমার কবর।

নবান্ন। এটি কেবল একটি ঋতুভিত্তিক পার্বণ নয়; এটি সেই বৈদিক পূর্ব কাল থেকে ঐতিহ্যের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় (যা প্রাচীন পুথি ও পাল আমলের লোক-আচারে চিত্রিত) এই সুবিস্তীর্ণ বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষের ‘অন্নময় ব্রহ্মের’ প্রতি নিবেদিত এক গভীর নান্দনিক অর্ঘ্য, যেখানে লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে শস্যের অধিষ্ঠাত্রী লোকদেবতার আহ্বানও লুকিয়ে থাকে। নবান্ন হল জীবন ও প্রকৃতির এক বিশাল মহাকাব্য, যা মানুষ, তার ধৈর্য, শ্রম এবং প্রকৃতির উদারতাকে এক মঞ্চে তুলে ধরে মানব-অস্তিত্বের শ্রম-মহিমা ঘোষণা করে।

বুদ্ধদেব বসুর অন্যতম অবদান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য (Comparative Literature) বিষয়টির প্রবর্তন। সারা ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়-মানে এ বিষয়ে পড়ানোর সূচনা তাঁর মাধ্যমেই হয়েছিল। এর ফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে তিনি যে বেশ কয়েকজন সার্থক আন্তর্জাতিক সাহিত্যবোধসম্পন্ন সাহিত্যিক তৈরি করেছিলেন তা-ই নয়, বিশ্বসাহিত্যের বহু ধ্রুপদী রচনা বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে তাঁরা বাংলা অনুবাদসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। অনুবাদকদের মধ্যে কয়েকজন হলেন নবনীতা দেবসেন, মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবীর রায়চৌধুরী প্রমুখ। এবং স্বয়ং বুদ্ধদেব।

দরজায় আটকানো কাগজটার থেকে চোখ সরিয়ে নিল বিজয়া। ওসব আইনের বুলি তার মুখস্থ। নতুন করে আর শেখার কিছু নেই। এরপর, লিফটের দিকে না গিয়ে সে সিঁড়ির দিকে পা বাড়াল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে উঠে বসল গাড়িতে। চোখের সামনে পরপর ভেসে উঠছে স্মৃতির জলছবি। নিজের সুখের ঘরের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ‘ডিফল্ট ইএমআই’-এর নোটিস পড়তে মনের জোর চাই। অনেক কষ্ট করে সে দৃশ্য দেখে নিচে নেমে আসতে হল বিজয়াকে।

তালিবান। জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই দুনিয়াজোড়া ডাক। আফগানিস্তানের ঊষর মরুভূমি, সশস্ত্র যোদ্ধা চলেছে হননের উদ্দেশ্যে। মানে, স্বাধীন হতে… দিনান্তে তাঁদের কেউ কেউ কবিতা লিখতেন। ২০১২ সালে লন্ডনের প্রকাশনা C. Hurst & Co Publishers Ltd প্রথম সংকলন প্রকাশ করে ‘Poetry of the Taliban’। সেই সম্ভার থেকে নির্বাচিত তিনটি কবিতার অনুবাদ।

দূর পাহাড়ের গায়ে ডানা মেলে/ বসে আছে একটুকরো মেঘ। বৈরাগী প্রজাপতি।/ সন্ন্যাস-মৌনতা ভেঙে যে পাহাড় একদিন/ অশ্রাব্য-মুখর হবে, ছল-কোলাহলে ভেসে যাবে তার/ ভার্জিন-ফুলগোছা, হয়তো বা কোনও খরস্রোতা/ শুকিয়ে শুকিয়ে হবে কাঠ,/ অনভিপ্রেত প্রত্যয়-অসদ্গতি!

আরও উপযুক্ত, আরও আরও সাশ্রয়ী, এসবের টানে প্রযুক্তি গবেষণা এগিয়ে চলে। সময়ের উদ্বর্তনে পুরনো সে-সব আলোর অনেকেই আজ আর নেই। নিয়ন আলো কিন্তু যাই যাই করে আজও পুরোপুরি যেতে পারেনি। এই এলইডি আলোর দাপটের সময়কালেও।