Search
Generic filters
Search
Generic filters
হাসিরাশি দেবী

হাসিরাশি দেবী

হাসিরাশি দেবীর জন্ম ১৯১১ সালে। ‘‘বেঙ্গল স্কুল’’ ধারার অন্যতম চিত্রী হাসিরিাশি দেবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা। চিত্রশিল্পী হিসেবেই যে হাসিরাশি দেবীর হাতযশ, তা কিন্তু নয়। সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে বিচরণ করেছেন। বহু বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন। ভাস্কর্য গড়েছেন। লিখেছেন গান। এইচএমভি থেকে তাঁর গানের রেকর্ডও বেরিয়েছে। ভাবতেন নারীচেতনা ও প্রগতির কথাও। আকাশবাণীতে তা নিয়মিত প্রচারিত হত। তাঁর কলমের জোরও ছিল। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, আত্মজীবনী, আঞ্চলিক ইতিহাস সর্বত্র বিচরণ করেছেন। তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জলধর সেন, সজনীকান্ত দাস, জসীম উদ্দিন, রাজশেখর বসু, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, মুকুল দে, অশোকনাথ শাস্ত্রী, নরেন্দ্র দেব, প্যারীমোহন সেনগুপ্ত প্রমুখ বরেণ্য শিল্পী-সাহিত্যিক হাসিরাশি দেবীর ছবি ও লেখায় মুগ্ধ ছিলেন। হাসিরাশি দেবীর কিছু উল্লেখযোগ্য বই হল : ‘বকবাবাজি ও কাঁকড়ামাসি’, ‘নিষ্প্রদীপ’, ‘বন্দীবিধাতা’, ‘ভোরের ভৈরবী’, ‘দ্বারী’, ‘লাগ ভেলকি লাগ’, ‘রাজকুমার জাগো’, ‘রক্তনীলার রক্তরাজি’, ‘মানুষের ঘর’, ‘দাই’, ‘কুশদহের ইতিহাস’, আচার্য্য অভেদানন্দ জীবনী এবং কবিতার বই ‘বর্ণালী’, সেই কবিতাবইয়ের ভূমিকা লেখেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তখনকার দিনে প্যারিসে তাঁর আঁকা ছবি বিক্রি হয়েছে বিস্তর, যা সেযুগে কেউ ভাবতেও পারতেন না। একবার রুমানিয়ার জনৈক রাষ্ট্রদূত শিল্পীর একখানি ছবি দেখে এতই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে, লোক মারফত তাঁর কাছে উপহার পাঠান। অথচ প্রবল ব্যক্তিত্বময়ী ও আত্মনির্ভরশীল এই মানুষটির শেষজীবন কেটেছে পরানুগ্রহে। ১৯৯৩-এর ৬ জুন এই অসামান্যা নারীর জীবনাবসান হয়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

হাসিরাশি দেবীর কবিতা ও ছড়া

ভালভাষা উৎসব সংখ্যা ২০২৩ || হাসিরাশি দেবীর কবিতা ও ছড়া। বৈশাখ বিদায়, দুঃখের রাতি এলো, ধূসর ধুলায় ঢাকা রবে…, যে গেছে সে চলে যাক্, হাতে কলমে, দূরদর্শী, নমস্কার, আজগুবি, চাঁদের ভেতর চরকা কাটা বুড়ি। কবিতা ও ছড়াগুলি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সংকলনগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।

Read More »