Search
Generic filters
Search
Generic filters
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

নগর জীবন ছবির মতন হয়তো

আমাদের ছোটবেলাটা লম্প-হারিকেন আর বিজলি বাতি মিলেমিশে থাকার সময়। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের গ্রামাঞ্চলে সন্ধের পর যে আলো জ্বলত, সেখানে বিজলি বাতির উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ছিল প্রদীপ, মোমবাতি, হারিকেন, লম্প, পেট্রোম্যাক্স, মশাল, কার্বাইড বা অ্যাসিটিলিন গ্যাসবাতি এমন সব দ্যুতিময় ব্যবস্থা। কিন্তু আমি ওই গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় শুরুতেই বড় হয়েছি হাওড়ায়; হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড তখন ভারতের শেফিল্ড। সেই সংকীর্ণ রাজপথের দু’পাশে সারি সারি ছোটবড় কারখানা, বলা ভাল, হাওড়ার অলিগলি জুড়েই ছোট আর মাঝারি শিল্পের রমরমা। তাই আমি বেড়ে উঠেছি বিজলি বাতির সময়েই।

তবে সে এক অন্যরকম সময়। রাতে সেই আধাশহর হাওড়ায় গৃহস্থের বাড়ি আলোকিত করার পাশাপাশি রাতেও বিজলির চাহিদা ছিল কলকারখানার কাজে। কেন না সেখানে কাজ বন্ধ হতে হতে রাত ন’টা-দশটা। তাই, বাড়ির আলো মিটমিটে, একশো ওয়াটের বাল্ব যেন নাইট ল্যাম্প। রাত দশটার আগে মোটেই সতেজ জ্বলত না সেই বিজলি বাতি। সময়টা ছিল ইনক্যানডেসেন্ট বাল্বের সময়। একটা পাতলা কাচের বাল্বের ভেতর তারের কুণ্ডলী বিজলির শক্তিতে জ্বলে হলুদ আলো ছড়াত। তবে সে-সময় সেই বাল্বের ভেতরে কাচের তলের ওপর ফসফোরেসন্স আস্তরণ দিয়ে খানিক সাদা আলোর ছড়ানোর চেষ্টাও ছিল। কিন্তু সে বাল্ব আমার বিশেষ পছন্দের ছিল না। কেন না তার ভেতরের কিছুই দেখা যেত না। স্বচ্ছ বাল্বে আমার কেরামতির সুযোগ থাকত। বাল্ব পুরনো হলেই সেটির ভেতর তারের লম্বা কুণ্ডলীটি কেটে যেত। রান্নাঘরে তেমনটি হলেই আমার ডাক পড়ত; ঠাকুমার কাতরোক্তি, দেখ না বাবা, আলোটা জ্বলছে না। শুরু হত আমার মেরামতি। বাল্বটিকে নানাভাবে, নানা দিকে ঘুরিয়ে কায়দা করে কুণ্ডলীর কাটা খণ্ডদুটি মুখোমুখি লাগিয়ে সন্তর্পণে হোল্ডারে লাগাতে পারলেই বাল্ব আবার জ্যান্ত। ঠাকুমার বিশেষ ‘সাবাসি’ মিলত। আমিও যেন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারের গর্বে গর্বিত।

এই শতকের গোড়াতেও আমাদের বাড়ির স্নানঘরে, রান্নাঘরে, কালিঝুলি মেখে হলদেটে ম্যাড়মেড়ে আলো দিত ইলেকট্রিক বাল্ব। ছোটবেলায় দেখেছি মধ্যবিত্ত গেরস্থ বাড়িতে ৪০, ৬০, বড়জোর একটি-দু’টি ১০০ ওয়াট বাল্ব ব্যবহার হত। রাস্তায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে কিংবা দোকানে ৫০০ ওয়াট ব্যবহার হতে দেখেছি। শুনেছি শিল্পক্ষেত্রে হাজার-দু’হাজার ওয়াটের বাল্বও ব্যবহার হত। সে যাই হোক, একে তো উজ্জ্বলতা বেশিদূর ছড়িয়ে পড়তে পারে না, তার ওপর বিজলির ব্যবহার আর সেই তুলনায় ঔজ্জ্বল্যের নিরিখে সেই ইক্যানডেসেন্ট বাল্ব মোটেই শক্তিসাশ্রয়ী ছিল না।‌ ১৯২০-৩০-এর মধ্যে বিদেশে শক্তিসাশ্রয়ী নিয়ন আলো এসে গিয়েছিল। আমাদের দেশেও পাঁচের দশকে বিজ্ঞাপনে নিয়ন সাইনবোর্ড শহর জীবনে বেশ চমক নিয়ে এল। পাঁচ-ছয়, এমনকী সাতের দশকে কত সাদাকালো ছায়াছবিতে তেমন নিয়ন সাইনবোর্ডকে গুরুত্ব দিয়ে পরিচালক জায়গা করে দিয়েছেন। দিনের বেলা যে সরু সাদা কাচের টিউব সুন্দর ক্যালিগ্রাফি হয়ে মেট্রোপলিটন বিল্ডিংয়ের ছাতে দাঁড়িয়ে থাকত, রাতে কালো আকাশের পটে সাদা আলো ছড়িয়ে সেই সুন্দর ক্যালিগ্রাফির টিউবটি ভাল লাগার আরেক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিত। ছোটবেলায় অবাক হয়ে দেখেছি ডালহৌসি স্কয়ারের মোড়ে নিয়ন আলোর কেটলি, আলোর কাপে আলোর চা ঢেলে চলেছে তো চলেছেই। সেসময় রাতের কলকাতার নিয়ন আলোর বিজ্ঞাপন ছোটবড় সকলকেই মোহিত করেছিল। সেই পাঁচের দশকের শেষেই কলকাতার ঘরে ঘরেও জনপ্রিয় হয়ে উঠল নতুন সেই আলো। নিয়ন আলো। আমাদের বসার ঘরে যেদিন সে আলো লাগানো হল, ঠাকুমা বলেছিল, ওরে বাবা, এ তো দেখি পূর্ণিমার আলো।

আমার জন্মের কিছু আগে গীতিকার-সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় সুবীর সেন গাইলেন, ‘নগর জীবন ছবির মতন হয়তো’। দেশভাগের হাজার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে, বাংলার মুক্ত, উদার, শ্যামল, পল্লিপ্রকৃতি ফেলে এসে, মানুষ বাসা বেঁধেছে শহরের ছোট ছোট উল্লম্ব সব খোপে। সেই বাহাত্তর বছর আগের গানেই আছে, ‘নিয়ন আলোয় চাঁদের আলোর ঝড়, শাওয়ারে শুনছি ঝর্নার কলস্বর’, এমন সব আধুনিক পঙক্তিমালা। যাঁরা এখনও সেই গান শোনেননি, শুনবেন; আর যাঁরা শুনেছেন, তাঁদের এ গান মনে থাকবেই। ‘বিজলি পাখা তোলে ভ্রমরের সুর, ন’তলার ছাতে হাওয়ার সমুদ্দুর’— স্পষ্ট চিনিয়ে দেয় সেই হাঁফিয়ে ওঠা নগরজীবনকে। ক্রমে সব সয়ে গেল; নিয়ন আলোও তার নাম হারাল। আমার কিশোরবেলা পৌঁছতে পৌঁছতে নিয়ন আলোর চালু নাম হল টিউব লাইট।

Advertisement

নিয়ন গ্যাসের আশ্চর্য ব্যবহার হাতিয়ার করেই সময়ের উদ্বর্তনে এসে হাজির হল সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প, মার্কারি ভেপার ল্যাম্প, হ্যালোজেন ল্যাম্প ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এ-সবই ছিল মূলত শিল্পে, রাজপথে কিংবা বড় বড় দোকানের পসরা সাজিয়ে তোলার আলো। আর তাদের নিজস্ব ব্যামোও ছিল হাজার রকম। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পের ছিল খানিক কমলা-ঘেঁষা রঙের আলো; তুলনায় মার্কারি ভেপার ল্যাম্পের ছিল চোখধাঁধানো নীলচে-সাদা আলো। তখন কলকারখানায় আর কিছু বড় বড় দোকানের ভেতর ব্যবহার হলেও, মূলত সেসব আলো বেশ কিছুকাল রাজপথ আলোকিত করেছে। সুইচ অন করার পর বেশ কিছুক্ষণ লাগত তাদের স্বমহিমায় আলো ছড়িয়ে দিতে। আর সে-সব ল্যাম্পের বয়েস বেশি হয়ে গেলে তো চিত্তির, সন্ধেয় জ্বালানো আলোর উজ্জ্বল হয়ে উঠতে প্রায় মাঝরাত! তার ওপর মার্কারি ভেপার ল্যাম্পের আলোয় মিশে থাকত ক্ষতিকর অতিবেগুনি বিকিরণ। তবে হ্যালোজেন ল্যাম্পের তেমন সমস্যা ছিল না আর আলোও ছিল বেশ স্নিগ্ধ সাদা; কিন্তু সে নিজেই তেতেপুড়ে এমন আকস্মিক লঙ্কাকাণ্ড ঘটাত যে, তারও স্থায়িত্ব বিশেষ টেকসই হয়নি। শাড়ির দোকানের মধ্যে এসব আলো দোকানের জেল্লা যতই বাড়াক, ক্রেতারা দেখেছি মোটেই খুশি হতেন না, কেন না এসব আলোয় ছিল বর্ণবিপর্যয় ঘটানোর অদৃশ্য শক্তি। মায়ের সঙ্গে তেমন আলোকিত দোকানে মাকে দেখেছি পছন্দের শাড়ি নিয়ে দোকানের বাইরে দিনের আলোয় আসল রংটি দেখতে; বেশিরভাগ সময়েই দোকানের ভেতরে যা মায়ের পছন্দের ঝলমলে কোনও রং, দিনের আলোয় নিতান্তই অনুজ্জ্বল, অপছন্দের।

আরও উপযুক্ত, আরও আরও সাশ্রয়ী, এসবের টানে প্রযুক্তি গবেষণা এগিয়ে চলে। সময়ের উদ্বর্তনে পুরনো সে-সব আলোর অনেকেই আজ আর নেই। নিয়ন আলো কিন্তু যাই যাই করে আজও পুরোপুরি যেতে পারেনি। এই এলইডি আলোর দাপটের সময়কালেও। এলইডি বাল্ব বা টিউব যতই বিজলি আর অর্থ সাশ্রয়ী হোক, আমার চোখে নিয়ন আলোর স্নিগ্ধতা অনেক বেশি আরামের। হয়তো অনেকের চোখেই, তাই আজও নানা কোম্পানির নিয়ন টিউব বাজার ছেড়ে চলে যেতে পারেনি। এমনকী টিউব লাইটের চোক, স্টাটারের মতো সব উপাঙ্গ বাল্বের পেটের মধ্যে পুরে সিএফএল বাল্বও বেশ কিছুদিন দাপিয়ে ‘আলোয় আলোকময়’ করার কাজ করেছে; তবে এখন কিছু স্তিমিত হয়েছে তার বাজার। কিন্তু একথাও ঠিক যে, টেকসই, সাশ্রয়ী, লাইট এমিটিং ডায়োড ক্রমশ বাজার পুরোই দখল করে নেবে। আজ এলইডি আলোর নানা রূপ, নানা আকার, নানান তেজ কলকারখানা, শপিং মল, ছোটবড় দোকান, রাজপথ থেকে অলিগলি, পথের ধারে গাছের কাণ্ড, ল্যাম্পপোস্টের শরীর জুড়ে ঝলমলে বাহার। রাতের ‘নগর জীবন ছবির মতন’ সেজে উঠেছে। ‘হয়তো’ নয়, নিশ্চিত। তবে সেই ছবি থেকে সরে গেছে জোনাকি; কেন না তার পাঠানো আলোর সংকেত এখন তার বন্ধুদের কাছে পৌঁছয় না। আলোয় সাড়া দিয়ে অযাচিত ভিড় বাড়াচ্ছে অলুক্ষণে সব পোকারা। দিনরাত সমান করা আলোর তেজে পাখিদের সময়ের হিসেবনিকেশ গেছে গুলিয়ে, অঘটন ঘটেছে তাদের নানা শারীরবৃত্তীয় কাজে। বেচারা গাছেদের পাতার আলোকসংবেদী ক্লোরোফিল-কণারাও বিব্রত। একে তো নগরের বাতাসে মিশে থাকা বিষবাষ্পে গাছের পাতা আক্রান্ত, তার ওপর দিবারাত্র আলোকের এই ঝর্নাধারায় গাছেরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তাই এখন আর ক’দিন যে ‘ফুটপাথে পোষা কৃষ্ণচূড়ায় বসন্ত আসে নেমে’ চরণটি সত্যি থাকবে কে জানে! সুবীর সেনের গানটিই তাড়া দিয়ে এই লেখাটি লিখিয়েছে। তাই সেই গানের প্রথম লাইনটি শিরোনামে রাখলাম।

চিত্র: বিজন সাহা (রাশিয়া)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 7 =

Recent Posts

মো. বাহাউদ্দিন গোলাপ

জীবনচক্রের মহাকাব্য নবান্ন: শ্রম, প্রকৃতি ও নবজন্মের দ্বান্দ্বিকতা

নবান্ন। এটি কেবল একটি ঋতুভিত্তিক পার্বণ নয়; এটি সেই বৈদিক পূর্ব কাল থেকে ঐতিহ্যের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় (যা প্রাচীন পুথি ও পাল আমলের লোক-আচারে চিত্রিত) এই সুবিস্তীর্ণ বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষের ‘অন্নময় ব্রহ্মের’ প্রতি নিবেদিত এক গভীর নান্দনিক অর্ঘ্য, যেখানে লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে শস্যের অধিষ্ঠাত্রী লোকদেবতার আহ্বানও লুকিয়ে থাকে। নবান্ন হল জীবন ও প্রকৃতির এক বিশাল মহাকাব্য, যা মানুষ, তার ধৈর্য, শ্রম এবং প্রকৃতির উদারতাকে এক মঞ্চে তুলে ধরে মানব-অস্তিত্বের শ্রম-মহিমা ঘোষণা করে।

Read More »
মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়

বুদ্ধদেব বসু: কালে কালান্তরে

বুদ্ধদেব বসুর অন্যতম অবদান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য (Comparative Literature) বিষয়টির প্রবর্তন। সারা ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়-মানে এ বিষয়ে পড়ানোর সূচনা তাঁর মাধ্যমেই হয়েছিল। এর ফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে তিনি যে বেশ কয়েকজন সার্থক আন্তর্জাতিক সাহিত্যবোধসম্পন্ন সাহিত্যিক তৈরি করেছিলেন তা-ই নয়, বিশ্বসাহিত্যের বহু ধ্রুপদী রচনা বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে তাঁরা বাংলা অনুবাদসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। অনুবাদকদের মধ্যে কয়েকজন হলেন নবনীতা দেবসেন, মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবীর রায়চৌধুরী প্রমুখ। এবং স্বয়ং বুদ্ধদেব।

Read More »
দেবময় ঘোষ

দেবময় ঘোষের ছোটগল্প

দরজায় আটকানো কাগজটার থেকে চোখ সরিয়ে নিল বিজয়া। ওসব আইনের বুলি তার মুখস্থ। নতুন করে আর শেখার কিছু নেই। এরপর, লিফটের দিকে না গিয়ে সে সিঁড়ির দিকে পা বাড়াল। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে উঠে বসল গাড়িতে। চোখের সামনে পরপর ভেসে উঠছে স্মৃতির জলছবি। নিজের সুখের ঘরের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ‘ডিফল্ট ইএমআই’-এর নোটিস পড়তে মনের জোর চাই। অনেক কষ্ট করে সে দৃশ্য দেখে নিচে নেমে আসতে হল বিজয়াকে।

Read More »
সব্যসাচী সরকার

তালিবানি কবিতাগুচ্ছ

তালিবান। জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই দুনিয়াজোড়া ডাক। আফগানিস্তানের ঊষর মরুভূমি, সশস্ত্র যোদ্ধা চলেছে হননের উদ্দেশ্যে। মানে, স্বাধীন হতে… দিনান্তে তাঁদের কেউ কেউ কবিতা লিখতেন। ২০১২ সালে লন্ডনের প্রকাশনা C. Hurst & Co Publishers Ltd প্রথম সংকলন প্রকাশ করে ‘Poetry of the Taliban’। সেই সম্ভার থেকে নির্বাচিত তিনটি কবিতার অনুবাদ।

Read More »
নিখিল চিত্রকর

নিখিল চিত্রকরের কবিতাগুচ্ছ

দূর পাহাড়ের গায়ে ডানা মেলে/ বসে আছে একটুকরো মেঘ। বৈরাগী প্রজাপতি।/ সন্ন্যাস-মৌনতা ভেঙে যে পাহাড় একদিন/ অশ্রাব্য-মুখর হবে, ছল-কোলাহলে ভেসে যাবে তার/ ভার্জিন-ফুলগোছা, হয়তো বা কোনও খরস্রোতা/ শুকিয়ে শুকিয়ে হবে কাঠ,/ অনভিপ্রেত প্রত্যয়-অসদ্গতি!

Read More »
শুভ্র মুখোপাধ্যায়

নগর জীবন ছবির মতন হয়তো

আরও উপযুক্ত, আরও আরও সাশ্রয়ী, এসবের টানে প্রযুক্তি গবেষণা এগিয়ে চলে। সময়ের উদ্বর্তনে পুরনো সে-সব আলোর অনেকেই আজ আর নেই। নিয়ন আলো কিন্তু যাই যাই করে আজও পুরোপুরি যেতে পারেনি। এই এলইডি আলোর দাপটের সময়কালেও।

Read More »