চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
রাগরাগিণীর ঘরে জন্ম চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের৷ মা শচীনকর্তার ভাগ্নি বিভাস কুমারী দেববর্মণ। ত্রিপুরা রাজপরিবারের মেয়ে৷ বাবা তীব্রভাবে সৎ, কল্পনাপ্রবণ হরিপদ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। চৈতালী বর্ণপরিচয়ের দ্বিতীয়ভাগ না পড়ে, নিজেই যুক্তাক্ষর শিখে নিয়েছিলেন। বইয়ের সরবরাহ যোগাতে যোগাতে ক্লান্ত বাবা-মাকে ক্ষান্ত করতে ছোট মেয়েটি উল্টোভাবে ধরে বই পড়ত, সময় বেশি লাগবে বলে৷ যাপনে ছিল, আজও আছে কবিতা আর তীব্র অনিশ্চয়। উত্তর কলকাতার সরু গলি, উঠোন, ময়ূরের খাঁচা, রুপোলি মাছ ছিটকে আসা গঙ্গাজলের কল, রোমান ক্যাথলিক স্কুলের চ্যাপেল ও অর্গানের অনুষঙ্গ, এসবই ভাসতে ভাসতে তাঁর কবিতার অভিমুখী হয়। বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও বিষয়ান্তর, সাহিত্য। আর, পেশা ছিল প্রখ্যাত বিজ্ঞাপন সংস্থায় কপিরাইটিং। বহুল প্রচারিত সব সংবাদপত্রে একের পর এক লিখে চলেছেন নানাকিছু। কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধবই প্রকাশ পেয়েছে অভিজাত প্রকাশনা থেকে। পেয়েছেন সরকারি (কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গের), বেসরকারি বিভিন্ন সম্মাননা। ২০২০ সালে ১১ জানুয়ারি তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত বিভা চট্টোপাধ্যায় স্মারক সম্মান অর্পণ করা হয়েছিল বাংলা কবিতায় তাঁর সামগ্রিক অবদান স্মরণে রেখে।