বিনয় মজুমদার
বিনয় মজুমদারের জন্ম ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪, মায়ানমারের মিকটিলা জেলার টোডো নামক শহরে৷ তাঁর পরিবার সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে চলে আসে দেশভাগের অনতি পরেই। পড়াশোনা কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট, প্রেসিডেন্সি কলেজে৷ গণিতের ছাত্র বিনয় এরপর শিবপুর বি.ই. কলেজ থেকে সাফল্যের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরই মধ্যে রুশ ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলা ভাষায় রুশ সাহিত্য অনুবাদ শুরু করেন। ‘অতীতের পৃথিবী’, ‘মানুষ কী করে শুনতে শিখল’ তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদকর্ম। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নক্ষত্রের আলোয়'। চাকরি করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে৷ কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই স্থির করেন শিক্ষকতা ছেড়ে শুধু কবিতাই লিখবেন৷ লিখতে শুরু করলেন ‘ফিরে এসো চাকা’। এই পর্বে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টেও কিছুদিন কাজ করেন৷ পরবর্তীতে হাংরি আন্দোলনে যোগ দেন এবং সেই সংস্রব ত্যাগ করেন। এরপর লেখেন ‘অঘ্রাণের অনুভূতিমালা’ কাব্যগ্রন্থ ও ‘ঈশ্বরীর স্বরচিত নিবন্ধ’ গদ্যসংকলন৷ সৃষ্টিঘোরে আচ্ছন্ন কবিকে কয়েক দফা মানসিক হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে। পরবর্তীতে শহর থেকে দূরে ঠাকুরনগর শিমুলপুরে পৈতৃক বাড়িতে একা একাই কাটিয়ে দিয়েছেন বাকিটা জীবন৷ লিখেছেন আরও অনেক কাব্যগ্রন্থ৷ জীবনপ্রান্তে এসে পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার এবং সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার। দীর্ঘ অসুস্থতা শেষে ২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রয়াত হন কবি।