১.
দাহকাজ শেষে জলের উচ্ছ্বাস
আগুনের কি শীত করে?
নগরে প্লাবন ভিটেমাটি উচ্ছেদ
জলের কি তেষ্টা মেটে?
দাবদাহে সূর্যম্পশ্যা
ছায়া কি ক্লান্ত হয়
বাঁশি মেঠোসুর বাউলের অযৌন-জনন
সুর কি আশ্রয় পায় গাছের কোটরে
মায়া-আর্শিতে চন্দন সুগন্ধি
বন্ধু কি মোছায় দেহ ঘৃত তিল তণ্ডুলে?
আমি যে নৌকোয় চেপেছি, নোয়া তার মাঝি
আর কেউ নেই মেগাস্থানিস আর তাঁর নৌ-কম্পাস
গেলাপোগাসের পাশের দ্বীপে
আমি খুঁজি কচ্ছপের ডিম, প্লাবন আসে
উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ওপর নাচে আবদুল মিয়া
সঙ্গে বছিরুদ্দিন একহাতে টেটা অন্য হাতে প্লাবন
কাল মধুমাস, আজ বাইশে শ্রাবণ
২.
এক পথ স্বপ্নভ্রষ্ট
এক পথ কশেরুকাহীন
এক পথ দুর্গা টুনটুনি
এক পথ পাভেল কোরচাগিন
কেউ কেউ বশীকরণ জানে
কেউ কেউ সিঁদুরে হালকা সতী
কেউ কলোনির কলে দাঁতে সায়া চাপা
কেউ কেউ পুরোটাই বসন্ত-মালতি
এক ছেলে ভালবেসে-বেসে ঘেঁটে যায়
এক মেয়ে ঘেঁটে ঘেঁটে ভালবাসে
মেয়েটি দরজায় দাঁড়ায় শোবে বলে
ছেলেটি ইমান-যাপন করে
এক মন ঘুড়ি চেত্তা খেয়ে ভাসে
এক মন গলুইয়ে গামছার মতো মেলা
এক মন দু’শিকের মাঝে ঝুলন্ত বিনুনি
এক মন অগরু খই তিল তণ্ডুলের খেলা
৩.
কচুরিপানা ফুলে রোদের ছোবল
তুমি কি দিয়েছ তেমন চুম্বন?
ফাগুন-বৌয়ের পরাগ ঝরে চিবুকে
তুমি কি তর্জনী বুলিয়েছ আশ্লেষে?
বসন্ত ঝুলে আছে অলিন্দে
ভারী বুকখানি মেলে দেওয়া বারান্দায়
অগস্ত্যযাত্রায় অশথের ডাল ভেঙে দিয়ে গেছে
তদুপরি মাটির কলস
বাহিরবাটিতে রং নিয়ে যারা প্রতীক্ষমাণ
তুমি কি ভাঙবে তাদের কাছে?
দুজনে একসাথে দোল খাওয়া কবে?
দোল খেলা?
জীবনে হোলির শেষে পবিত্র নেড়াপোড়া
পোড়া আনাজের গন্ধ চারপাশে।
তবে কি এবার দুহাতে নেব আংরাখা কালি?
তাতে মেশাব শান্তির জল!
হোলি হবে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট?
চৈতালি রাতে চাঁদের আলোয় তুমি আর আমি
সাদা কালো সাদা কালো সাদা…
চিত্রণ: ক্রিস্তিনা সাহা





