হাতচিঠি
বৃষ্টির তুমুল গর্ভে যে-কাহিনি শুরু, তা অমন অস্পষ্টতার আড়ালে আগাগোড়া থেকে যাবে, নাকি অন্তত অন্তিমে পৌঁছে একটা হেস্তনেস্ত হবে-– মিলন বা বিচ্ছেদ, যা হোক কোথাও পৌঁছাবে : জাহান্নাম বা বেহেস্ত? হা হা, এমন নিশ্চিত পরিণতির দাবি কে তুলছে! যেন লবেঞ্চুস গালে পুরে দিলে তবে খোকাখুকুর নিশ্চিন্তি। বৃষ্টি কিছু বলছে না, শুধু নাগাড়ে ঝরছে। যেন মস্ত ঘষা কাচ। কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না সামনে কী। স্বভাব-জুয়াড়ি তবু আঁক কষে যাচ্ছে, কোনও একটা দাঁও যদি মারা যায়! এদিকে কুঁয়ারি নদী ফুলে ফেঁপে একসা। আর, সে তো একলা নয়, শত শত। হ্লাদের চাগাড়ে ফেনায় নুড়ি-পাথরে কী হুল্লোড়! কে বলবে, জগতে সাড়ে পনের আনাই ভাঙা চাঁদের আলোর স্তব্ধতায় গভীর অনিশ্চয়তা নিয়ে রাত জাগে যে, আলো ফুটবে? ফুটবে তো? দুবেলা দুমুঠো অন্ন? না কি ফের ধানাইপানাই জুড়বে অদৃশ্য ভুতুম! কথকতা বোনা গাথা ফিরি হবে। লক্ষ্মণের দাগে প্রবৃত্তি আটকালে মহাকাব্য মুলতুবি রইত। যুগান্তের নাগর কানাই আজও বাঁশিতে ফুঁ দেয়, আর অনিশ্চয়তার বৃষ্টি ঝরে গভীর সংরাগে
চিত্রণ: মনিকা সাহা





